কুচিয়া মাছ বগুড়া জেলার আদমদীঘিতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ
কুচিয়া মাছ বগুড়া জেলার আদমদীঘিতে বানিজ্যিকভাবে চাষ করা হচ্ছে। বগুড়া জেলার আদমদীঘি থেকে প্রতি মাসে প্রায় অর্ধকোটি টাকার কুচিয়া মাছ বিদেশে রফতানি হচ্ছে। কুচিয়া মাছকে ঘিরে আদমদীঘি উপজেলায় ৩ টি আড়ৎ গড়ে উঠেছে। প্রতিটি আড়ৎ থেকে প্রতি সপ্তাহে ৫শ’ কেজি থেকে ৭শ’ কেজি মাছ বিক্রি হয়।
এসব আড়তদার কুচিয়া মাছ ধরার জন্য শ্রমিক নিয়োগ করে রেখেছেন। আড়তদাররা জানান, তারা সরাসরি কুচিয়া মাছ বিদেশে পাঠাতে পারেন না। রফতানিকারকদের কাছে তারা এই মাছ বিক্রি করেন। আর রফতানিকারকরা কুচিয়া মাছ চীন, হংকং, জাপান ও থাইল্যান্ডে রফতানি করেন।
কুচিয়া মাছ অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হলেও আদমদীঘিতে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। যদি বাণিজ্যিকভাবে কুচিয়া মাছের উৎপাদন করা যায়, তাহলে জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে এবং এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
সরেজমিন আদমদীঘির আড়ত ঘুরে জানা গেছে, বছরের নভেম্বর থেকে জুন মাস পর্যন্ত কুচিয়া মাছ ধরার মৌসুম। আড়তগুলো সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কুচিয়া মাছ ধরা হয়। প্রতি শ্রমিক দিনে ২-৩ কেজি কুচিয়া মাছ ধরতে পারেন। আদমদীঘির আড়তদার বাপ্পী সরকার জানান, পুকুর অথবা বিল, হাওর ও পাশের ছোট ছোট গর্ত থেকে কুচিয়া মাছ ধরা হয়। কুচিয়া মাছ তারা শ্রমিকদের কাছ থেকে কিনে ঢাকার আড়তদারদের কাছে বিক্রি করেন। পরে ঢাকার আড়তদাররা সেখান থেকে বিভিন্ন দেশে রফতানি করেন। এ ব্যাপারে আদমদীঘি উপজেলার ভারপ্রাপ্ত মৎস্য অফিসার রতন কুমার কুণ্ডু জানান, কুচিয়া মাছ ধরতে সরকারি কোনো বাধা নেই।
তবে ব্যাপকভাবে ধরা হলে বিপন্নপ্রায় এই মাছটি হয়তো এক সময় হারিয়ে যাবে। কুচিয়া মাছের ধরন লেজ খাড়াখাড়িভাবে চাপা ও সরু। ত্বক স্যাঁতস্যাতে ও পিচ্ছিল। উদর হালকা লাল। লম্বায় ৬০ থেকে ৭০ সেন্টিমিটার। এরা অগভীর খাল, বিল, হাওর, পুকুর ও মাটির গর্তে সববাস করে। বাংলাদেশে অনেকেই কুচিয়া মাছটিকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে না।
How useful was this post?
Click on a star to rate it!
We are sorry that this post was not useful for you!
Let us improve this post!
Thanks for your feedback!