ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশী বিজ্ঞানীরা
ছাগল ব্ল্যাক বেঙ্গলের জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন করার সাফল্য পেয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ও বাংলাদেশ প্রাণি সম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) একদল গবেষক। বাকৃবির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড.মো. জসিমউদ্দিন খান গত ১৩ ই নভেম্বর ২০১৮, পশুপালন অনুষদের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাফল্যর ঘোষণা দেন। উক্ত সাফল্যমণ্ডিত কাজের নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রধান গবেষক ড.এ.এম. ইয়াহিয়া খন্দকার। এছাড়াও দলের অন্যান্য গবেষকবৃন্দের মধ্যে রয়েছেন ড. মো. বজলুর রহমান মোল্ল্যা, ড. মো. সামছুল আলম ভূঞা, ড. আব্দুল জলিল. ড. গৌতম কুমার দেব, মো. পণির চেীধুরী ও নূরে হাছিন দিশা।
প্রধান গবেষক ড.এ.এম. ইয়াহিয়া খন্দকার বলেন, বাংলাদেশে আমরাই প্রথম ব্ল্যাক বেঙ্গলের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্সিং করেছি। এতে ব্ল্যাক বেঙ্গল খাদ্যাভাস, শারিরীক গঠন, চামড়া ও প্রজননসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর গবেষণার দ্বার উম্মোচিত হলো। ভবিষ্যতে কেউ গবেষণা করতে চাইলে এই জিনোম সিকোয়েন্সিং অনেক কাজে লাগবে। গবেষক ড. মো. বজলুর রহমান মোল্ল্যা বলেন, বাংলাদেশী ব্লাক বেঙ্গল ছাগলের একটি পূর্ণাঙ্গ জিনোম রেফারেন্স তৈরী করেছি। এতে করে ডি.এন.এ. আবিষ্কার ও মার্কারগুলোর মাধ্যমে ছাগলের ওজন বৃদ্ধির হার, দুধ উৎপাদন, বাচ্চা উৎপাদন, রোগ প্রতিরোধ ও মাংসের গঠন সংক্রান্ত জিন আবিষ্কার করা সহজ হবে। ফলে সহজেই ছাগলের মোট জিনের সংখ্যা, গঠন ও কার্যাবলী নিরুপণ করা যাবে।
উল্লেখ্য যে, বিশ্বখ্যাত ছোট জাতের ছাগল ব্ল্যাক বেঙ্গলের জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন করার গবেষণায় অর্থায়ন করেছে যৌথভাবে বাকৃবি ও বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (BLRI)।
How useful was this post?
Click on a star to rate it!
We are sorry that this post was not useful for you!
Let us improve this post!
Thanks for your feedback!