ট্রাইকো লিচেট উৎপাদন ও বিভিন্ন ফসলে এর ব্যবহার পদ্ধতি
ট্রাইকো লিচেট নিয়ে বলতে গেলে প্রথমে ট্রাইকো কম্পোষ্ট বিষয়ে জানতে হবে। জানতে হবে ট্রাইকো কম্পোষ্ট কি?
ট্রাইকো কম্পোস্টঃ হলো এক ধরনের জৈব সার, যার মূল উপাদান ট্রাইকোডার্মা নামক এক ধরনের উপকারী ছত্রাক। বিভিন্ন জৈব উপাদান, যেমন গোবর, মুরগির বিষ্ঠা, সবজির উচ্ছিষ্ট, কচুরিপানা, কাঠের গুঁড়া, ভুট্টার ব্রান, চিটাগুড়, ছাই ও নিমপাতা এবং ট্রাইকোডারমা ছত্রাকের অণুবীজ নির্দিষ্ট অনুপাতে একত্রে মিশিয়ে তা বিশেষ উপায়ে হাউসে জাগ দিয়ে ৪০-৪৫ দিন রেখে পচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যে কম্পোস্ট তৈরি করা হয়, তাই ট্রাইকো কম্পোস্ট।
আর ট্রাইকো কম্পোষ্ট সার তৈরির সময় হাউজ থেকে নির্গত তরল নির্যাসকে ট্রাইকো লিচেট বলে।
ট্রাইকো লিচেটের ব্যবহারঃ ট্রাইকো কম্পোস্ট সার উৎপাদনের সময় যে লিচেট (তরলজাতীয়) সংগ্রহ করা হয়, তা বিভিন্ন সবজি ও পানের বরজে ব্যবহার করে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ ফসলের ছত্রাকজনিত রোগবালাই নিয়ন্ত্রণে করা যায়।
পানের বরজে ট্রাইকো লিচেট ব্যবহার করে পানের পচন রোধ করা সম্ভব হচ্ছে। এতে পানের ফলন বেশ ভালো হবে।
ছাদবাগান, ধান, পাট, সবজীসহ যেকোন ধরনের ফসলের ফলন বৃদ্ধি, দৈহিক বৃদ্ধি এবং রোগ প্রতিরোধে ব্যবহার করা যায়।
ট্রাইকো লিচেট ব্যবহার করে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি রোগবালাই দমনে তা ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে কৃষকদের রোগবালাই দমনে কীটনাশকের ব্যবহার হ্রাস পাবে। অপরদিকে কৃষক এটি বাজারে ভালো দরে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারবেন। বাজারে ১ লিটার ট্রাইকো লিচেটের দাম ২০০-২৫০ টাকা।
বর্তমানে স্বল্প খরচে ও সহজ পদ্ধতিতে উৎপাদিত এ সার ও লিচেটের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
How useful was this post?
Click on a star to rate it!
We are sorry that this post was not useful for you!
Let us improve this post!
Thanks for your feedback!