ডিএপি (ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট) সারের দাম প্রতি কেজিতে ৯ টাকা কমেছে
ডিএপি (ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট) সারের দাম প্রতি কেজিতে ৯ টাকা কমিয়ে ১৬ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। এই উদ্যগটি নেওয়া হয়েছে কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার্থে এবং ফসলের উৎপাদন ব্যয় কমাতে।
০৪ নভেম্বার ২০১৯, বুধবার সচিবালয়ে সারের মূল্য হ্রাসের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ইউরিয়া সারের ব্যবহার হ্রাস ও ডিএপি (ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট) সারের ব্যবহার বৃদ্ধিসহ কৃষকদের উৎপাদন খরচ কমানোর লক্ষ্যে দেওয়া প্রস্তাবটি সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন করেছেন।
ডিএপি সারের দাম কেজিপ্র তি ৯ টাকা কমিয়ে ডিলার পর্যায়ে ১৪ টাকা ও কৃষক পর্যায়ে ১৬ টাকা নির্ধারণ করা হলো। এজন্য প্রতি কেজি সারে ২৪ টাকা ধরে বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে।”
কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে বছরে ৪-৫ লাখ টন ডিএপি সারের চাহিদা রয়েছে। তাই দাম কমানোর ফলে ডিএপি সারের ব্যবহার আরো বাড়বে এবং কৃষদের উৎপাদন খরচও উল্লেখযোগ্য হারে কমে পাবে।
ডিএপি সারে ১৮% নাইট্রোজেন (অ্যামোনিয়া ফর্মে) এবং টিএসপি সারের সম পরিমাণ ফসফেট রয়েছে। এ সার প্রয়োগে ইউরিয়া এবং টিএসপি সারের সুফল পাওয়া যায়। ডিএপি সার প্রয়োগে গাছ শক্তিশালী হয়, ফসলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে ও ফসল পুষ্ট হয়। ফলে কীটনাশকের ব্যবহার ও আমদানি কমে যাবে।
তিনি আরো বলেন, প্রতি বছর সারের জন্য সরকারকে সর্বমোট ৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়। কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
২০০৯ সালের আগে ডিএপি সারের দাম ছিল কেজিতে ৯০ টাকা, যা ধাপে ধাপে কমিয়ে ২০১৪ সালে ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল যা বর্তমানে ১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
How useful was this post?
Click on a star to rate it!
We are sorry that this post was not useful for you!
Let us improve this post!
Thanks for your feedback!