বোরো ধানের বীজতলায় ঠাণ্ডা ও ঘনকুয়াশা থেকে চারা রক্ষায় করণীয়
বোরো ধানের বীজতলায় ঠাণ্ডা ও ঘনকুয়াশা থেকে চারা রক্ষায় করণীয়ঃ
বোরো ধানের বীজতলায় প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ও ঘনকুয়াশা থেকে চারা রক্ষার জন্য নিম্নলিখিত কাজগুলো করা অত্যন্ত জরুরিঃ
- সুস্থ, সবল ও সতেজ চারা পেতে হলে প্রতিদিন সন্ধ্যায় বীজতলা পানিতে ডুবিয়ে দিয়ে পরদিন সকাল বেলায় সেই পানি বের করে দিতে হবে।
- বীজ বপনের ৩-৪ দিন পর থেকে নালায় সেচ দিতে হবে এবং বীজতলার মাটি নরম রাখতে হবে।
- বোরো ধানের বীজতলায় দৈনিক সকালে অন্তত একবার দেখে আসতে হবে।
- বোরো ধানের বীজতলার চারা হলুদ হয়ে গেলে চারা গজানোর ২ সপ্তাহ পর প্রতি শতাংশ বীজতলার জন্য ২০০-২৫০ গ্রাম ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে। তারপরও চারা হলুদ থাকলে প্রতি শতাংশ বীজতলার জন্য ১০০ গ্রাম জিপসাম সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে।
- ইউরিয়া প্রয়োগের পর চারা সবুজ না হলে বীজতলায় মাত্রা অনুযায়ী থিয়োভিট প্রয়োগ করতে হবে।
- রোগ দমনের জন্য অধিক শীত ও কুয়াশায় বীজতলায় মাত্রানুযায়ী মেনকোজেব জাতীয় ছত্রাকনাশক যেমন ডাইথেন এম ৪৫/ ইণ্ডোফিল এম ৪৫/ জ্যাজ ইত্যাদি ২ গ্রাম/লিটার পানিতে দিয়ে স্প্রে করতে হবে।
- বীজতলা পাতাঝলসানো রোগে আক্রান্ত হলে সকালে রশি টানা দিয়ে চারা থেকে কুয়াশার পানি ফেলে দিতে হবে। তারপর প্রতি শতাংশ বীজতলার জন্য ৫০ গ্রাম হারে পটাশ সার দিতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে,এই সময় ইউরিয়া সারের উপরি প্রয়োগ বন্ধ রেখে সেচের পানি বের করে দিতে হবে। পুনরায় এক সপ্তাহ পর সেচ দিতে হবে।
- অতিরিক্ত ঠান্ডায় তাপমাত্রা ধরে রাখার জন্য বীজতলায় ছাই ছিটানো যেতে পারে।
- বীজতলা থেকে চারা তোলারএক সপ্তাহ আগে অনুমোদিত হারে কীটনাশক ছিটানো যেতে পারে। এতে করে বীজতলার চারা পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবে।
How useful was this post?
Click on a star to rate it!
We are sorry that this post was not useful for you!
Let us improve this post!
Thanks for your feedback!