দিশার সংগ্রামী জীবন। সবার ভালোলাগার মতো ছোট গল্প
দিশা রংপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। বাবা মার খুব আদরের বড় মেয়ে। লেখাপড়াতেও যেমন ভালো তেমনি দেখতেও অনেক সুন্দর।
টানা টানা চোখ, ছিমছিমে দেহের গঠন, লম্বা এবং দুধে আলতা গায়ে রং।
ছোটবেলা থেকেই দিশার গুলু গুলু কিউট চেহারার জন্য স্কুলে ও প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় পাড়ার ছেলেরা দিশাকে প্রেমের প্রস্তাব দিত, নানাভাবে বিরক্ত করত।
কিন্ত দিশা এসবে পাত্তাই দিত না উল্টো তার বাবা মাকে বলে দিত এসব কথা।
দিশার আম্মু একদিন পাশের বাসার ভাবিকে বলল ভাবি আপনার ছেলেকে সাবধান করে দিবেন যেন আমার মেয়েকে পথে-ঘাটে পাড়ার ছেলেদের সাথে মিলে বিরক্ত না করে।
পরের দিন সকালে দিশা নাস্তা করে যথারীতি স্কুলে যাওয়ার জন্য বের হলো। পাড়ার মোড়ে বখাটে ছেলেগুলো প্রতিদিনের মতো আজও বসে ছিল।
দিশাকে দেখা মাত্র তারা হো হো করে হেসে বলল তোরা ওকে কিছু বলিস না। দিশা মনি গিয়ে ওর মাকে বলে দিবে আর ওর মা গিয়ে আমাদের মায়েদের কাছে গিয়ে অভিযোগ করবে।
দিশার পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ততার মাঝেই সময় কাটতে লাগল। দিশা এসএসসি ও এইচএসসিতে সিজিপিএ ৫ পেয়ে মেডিকেল কোচিং এ বংপুরেই ভর্তি হলো।
দিশার পরিবার সম্পর্কে তো বলাই হলো না। দিশারা ১ ভাই ১ বোন। ওর বাবা ডাক্তার এবং মা গৃহিনী।
দিশার বাবা পরিবারসহ রংপুরেই থাকে। দেখতে দেখতে দিশার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট বের হলো।
দিশার বাবা খুবই খুশি, কেননা মেয়ে ৩য় স্থান অধিকার করে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেল।
পাশাপাশি একটু মনও খারাপ হলো এই ভেবে যে, তার আদরের মেয়ে কিভাবে একা একা হোস্টেলে থাকবে।
………… চলবে…………
বিঃদ্রঃ কারো ভালো লাগবে কিনা জানি না। জীবনে প্রথম একটা ছোট গল্প লিখতে ইচ্ছা করল। তাই একটু লিখার চেষ্টা করলাম। আপনাদের অনুপ্রেরণা পেলে পরবর্তী পর্ব দিব।
গল্পঃ দিশার সংগ্রামী জীবন
লেখকঃ নাজনীন আফরোজ
How useful was this post?
Click on a star to rate it!
We are sorry that this post was not useful for you!
Let us improve this post!
Thanks for your feedback!