পেঁয়াজ সংরক্ষণের অভিনব পদ্ধতি ( কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থা ছাড়াই)
পেঁয়াজ নিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে প্রায়ই দুর্ভোগ পোহাতে হয়। পেঁয়াজের দাম মাঝে মাঝেই ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যায়। কারণ পেঁয়াজ কাঁচা ফসল তাই এটা মজুদ করা যায় না, পঁচে যায়। কিন্তু এই সমস্যার চমৎকার সমাধান বের করেছেন ভারতের মধ্যপ্রদেশের ঝাবুয়ার একালার একজন পেঁয়াজ চাষি রোহিত প্যাটেল।
আবহাওয়া কখনো খুব আর্দ্র আবার কখরো দারুণ গরম। এই পরিস্থিতিতে পেঁয়াজ বেশি দিন মজুদ করে রাখাটা মুশকিলের। পচন ধরে যায়। তার উপর ইঁদুরের উত্পাত তো আছেই। প্রতি বছর পেঁয়াজের যা ফলন হয়, তার চেয়ে ফলনের অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। এই অবস্থায় কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থা করাও অনেক খরচের ব্যাপার। তাই তিনি এই সমস্যা সমাধানে নিজেই মাথা খাটিয়ে অভিনব উপায় বের করেন।
৬০০ বর্গ ফুটের ঘরে মাত্র ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে দেশি পদ্ধতির কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থা করে ফেলেন তিনি। এই ঘরে কোনো জানলা রাখা হয় নাই।। একটা নির্দিষ্ট দূরত্বে আট ইঞ্চির ইটের দেওয়াল বানানো হয়েছিল। তার উপর লোহার তারজালি লাগান হয়েছিল।
এরপর এই তারজালির উপর সমস্ত পেঁয়াজগুলো ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। নির্দিষ্ট দূরত্বে পুরো ঘর জুড়েই লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল মোটা পাইপ, যা একেবারে নীচ পর্যন্ত বিস্তৃত। আর পাইপের একেবারে বাইরে লাগিয়েছিলেন ফ্যান।
এই পুরো ব্যবস্থাটা একটা কোল্ড স্টোরেজের মতো কাজ করে। ফ্যান চালালেই ঠান্ডা বাতাস একেবারে নীচ পর্যন্ত প্রবেশ করে। পুরো ঘরটা ঠান্ডা হয়ে যায়। এতে বেশির ভাগ পেঁয়াজই ভালো থাকে।
আগে যেখানে তিন হাজার কুইন্টাল পেঁয়াজ বেচে রোহিত ৯০ হাজার টাকা আয় করতেন, এখন সেখানে পরিমাণে অনেক বেশি পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারছেন। তার উপর স্টোর করে রেখে ঠিক সময়ে বিক্রিও করা যাচ্ছে। ফলে তার আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯৬ লাখ টাকা।
How useful was this post?
Click on a star to rate it!
We are sorry that this post was not useful for you!
Let us improve this post!
Thanks for your feedback!