About Us Contact Us Privacy Policy Terms & Conditions Copyright

বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ (ব্রি ধান ১০০) জাতের বৈশিষ্ট্য ও চাষ পদ্ধতি

Please don't forget to share this article

বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ বা ব্রি ধান ১০০ এর জাতের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি?

বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ বা ব্রি ধান ১০০ বোরো মৌসুমের একটি উচ্চমাত্রার জিংকসমৃদ্ধ ধানের জাত। এই জাতের গাছের আকার ও আকৃতি ব্রি ধান ৭৪ এর মতো। এ জাতের ডিগপাতা খাড়া, প্রশস্ত ও লম্বা, পতার রং সবুজ। পূর্ণ বয়স্ক গাছের গড় উচ্চতা ১০১ সেমি.। জাতটির গড় জীবনকাল ১৪৮ দিন। ১০০০ টি পুষ্ট ধানের ওজন গড়ে ১৬.৭ গ্রাম। এই জাতের চালের আকার আকৃতি মাঝারি চিকন, রং সাদা এবং ভাত ঝরঝরে হয়। জিংকের পরিমাণ ২৫.৭ মি.গ্রাম/কেজি এবং দানায় অ্যামাইলোজের পরিমাণ শতকরা ২৬.৮ ভাগ। এছাড়া প্রোটিনের পরিমাণ শতকরা ৭.৮ ভাগ।

প্রচলিত জাতের তুলনায় এই জাতের বিশেষ কি কি বৈশিষ্ট্য রয়েছে?

এই জাতের কিছুবিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। জিঙ্ক সমৃদ্ধ ধান ব্রি-৭৪ এর জীবনকাল ১৪৫-১৪৭ দিন। এক্ষেত্রে ব্রি ধান ১০০ জাতের জীবনকাল ব্রি ধান ৭৪ এর প্রায় সমান। তবে, ব্রি ধান ৭৪ এর চেয়ে ব্রি ধান ১০০ ধানের গুণগত মান ভালো, অর্থাৎ চালের আকার আকৃতি মাঝারি চিকন এবং ব্রি ধান-৮৪ এর চেয়ে ফলন প্রায় ১৯ শতাংশ বেশি। এছাড়াও এ জাতের জিংকের পরিমাণ ব্রি ধান ৭৪ এর চেয়ে বেশি। জাতটি হেক্টর প্রতি ৬.৯-৮.৮ টন পর্যন্ত ফলন দিতে পারে।

ব্রি ধান ১০০ জাতের চাষাবাদ পদ্ধতি সম্পর্কে কিছু বলেন?

১৫ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর অথবা বাংলা মাসের অগ্রহায়ণের ০১ তারিখ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে বীজ বপন করতে পারবেন। ৩৫-৪০ দিনের চারা গোছা প্রতি ২-৩ টি করে ২০ সেমি. থেকে ১৫ সেমি. দূরত্ব রেখে রোপণ করবেন। জাতটি চাষ করতে হবে মাঝারি নিচু জমিতে যেখানে ভালো সেচ সুবিধা আছে।  

সার প্রয়োগ করবেন বিঘা প্রতি কেজিতে ইউরিয়া ৩৫ , টিএসপি ১৩ , এমওপি ১৬ , জিপসাম ১৫ এবং জিংক সালফেলট ১ কেজি। সবশেষ জমি চাষের সময় সবটুকু টিএসপি, অর্ধেক এমওপি, জিপসাম এবং জিংক সালফেলট একসাথে প্রয়োগ করবেন। ইউরিয়া সমান তিন কিস্তিতে, রোপণের ১০-১৫ দিন পর ১ম কিস্তি, ২৫-৩০ দিন পর ২য় কিস্তি এবং ৪০-৪৫ দিন পর ৩য় কিন্তি প্রয়োগ করতে হবে। বাকি অর্ধেক এমওপি, ২য় কিস্তি ইউরিয়ার সাথে প্রয়োগ করতে হবে। জিংকের অভাব পরিলক্ষিত হলে জিংক সালফেট এবং সালফারের অভাব পরিলক্ষিত হলে জিপসাম ইউরিয়ার মতো উপরিপ্রয়োগ করতে হবে।

ব্রি ধান ১০০ এ রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ প্রচলিত জাতের চেয়ে অনেক কম হয়। তবে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা দিলে পরামর্শ অনুযায়ী বালাইনাশক প্রয়োগ করবেন।

চারা রোপণের ৩০-৪০ দিন পর্যন্ত জমি আগাছামুক্ত রাখতে হবে। এছাড়াও চারা রোপণের পর থেকে দুধ আসা পর্যন্ত জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে সেচ দিতে হবে।

এ জাতের গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ৭.৭ টন। তবে, উপযুক্ত পরিচর্যায় জাতটি হেক্টর প্রতি ৮.৮ টন পর্যন্ত ফলন দিতে সক্ষম।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

As you found this post useful...

Follow us on social media!

We are sorry that this post was not useful for you!

Let us improve this post!

Please don't forget to share this article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। সকল স্বত্ব www.agriculturelearning.com কর্তৃক সংরক্ষিত