বরবটি চাষ পদ্ধতি। জমি তৈরি, সার প্রয়োগ ও অন্তর্বর্তীকালীন পরিচর্যা
বরবটি আমিষ সমৃদ্ধ একটি সবজি। প্রায় সারা বছরই এটি ফলানো যায়। তবে খরিপ তথা গ্রীষ্মকালে ভাল হয়। খুব শীতে ভাল হয় না। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে সাধারণত বীজবপন করা হয়। তাছাড়া আশ্বিন-অগ্রাহায়ণ মাসেও বীপবপন কর হয়। অন্যান্য সময়ও বোনা যেতে পারে।
মাটিঃ দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি বরবটি চাষের জন্য উপযোগী।
জাতঃ কেগরনাটকীই অনেকদিন পর্যন্ত বরবটি একটি উন্নত জাত হিসেবে চাষ হয়ে আসছে। এখন অবশ্য বেশ কয়েকটি জাত চলে এসেছে। লাল বেণী,তকি, ১০৭০, বনলতা, ঘৃতসুন্দরী, গ্রীন লং, গ্রীন ফলস এফ১, সামুরাই এফ১ ইত্যাদি কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কয়েকটি জাত। কেগরনাটকী জাতটি পৌষ-মাঘ মাস ছাড়া সারা বছরই চাষ করা যায়। মধ্য মাঘ থেকে মধ্য আশ্বিনে চাষ করা যায় ঘৃতসুন্দরী, গ্রীন লং। মধ্য ফাল্গুন থেকে মধ্য আশ্বিন পর্যন্ত চাষ করা যায় ১০৭০ জাতটি। উল্লেখিত জাতগুলোর রমধ্যে কেগরনাটকী ও লাল বেণী জাতের ফলন সবচেয়ে বেশি। তবে খেতে ভাল ঘৃতসুন্দরী।
বীজের পরিমাণঃ প্রতি শতকে ১০০-১২৫ গ্রাম, হেক্টর প্রতি ৮-১০ কেজি।
জমি তৈরিঃ ৪ – ৫ টি চাষ ও মই দিয়ে ভালভাবে জমি তৈরি করতে হয়।
সারের মাত্রাঃ
সারের নাম সারের পরিমাণ
প্রতি শতকে প্রতি হেক্টরে
ইউরিয়া ১০০ গ্রাম ২৫০ কেজি
টি এস পি ৯০ গ্রাম ২২৫ কেজি
এমওপি ৭৫ গ্রাম ১৮৫ কেজি
গোবর ২০ কেজি ৫ টন
সার প্রয়োগ পদ্ধতিঃ গোবর, টিএসপি সম্পূর্ণ পরিমাণ ও অর্ধেক এমওপি সার শেষ চাষের সময় জমিতে প্রয়োগ করতে হয়। পরে বীজ বোনার ২০ দিন পর ১০০ গ্রাম ইউরিয়া ও বাকি অর্ধেক এমওপি সার জমিতে উপরি প্রয়োগ করতে হবে।
বীজ বপনঃ ২ মিটার দূরত্বে সারি করে ২৫-৩০ সেমি. দূরে দূরে বীজ বুনতে হয়। জাত হিসেবে সারির দূরত্ব ১ মিটার বাড়ানো বা কমানো যায়।
পারিচর্যাঃ চারা বড় হলে মাচা বা বাউনি দিতে হবে। জমিতে পানির যাতে অভাব না হয় সে জন্য প্রয়োজন অনুসারে সবসময় সেচ দিতে হবে। আগাছা পরিষ্কার রাখতে হবে। পোকামাকড় ও রোগ ব্যবস্থাপনা শিমের মতই। জাব পোকা, ফল ছিদ্রকারী পোকা ও মোজেইক রোগ বরবটি চাষের বড় সমস্যা।
ফসল সংগ্রহ ও ফলনঃ বীজ বোনার ৫০ – ৬০ দিন পর থেকেই বরবটি সংগ্রহ করা যায়। শতক প্রতি ফলন ৩০ – ৬০ কেজি, হেক্টর প্রতি১০ – ১২ টন।
How useful was this post?
Click on a star to rate it!
We are sorry that this post was not useful for you!
Let us improve this post!
Thanks for your feedback!