বস্তায় আদা চাষের সহজ পদ্ধতি এবং এর বিস্তারিত তথ্য
বস্তায় আদা চাষ করতে হলে প্রথমে একটি বস্তায় তিন ঝুড়ি মাটি, এক ঝুড়ি বালি, এক ঝুড়ি গোবর সার ও দানাদার কীটনাশক ফুরাডান ৫ জি ২৫ গ্রাম নিতে হবে। বালি পানি নিষ্কাশনে সাহায্য করবে এবং ফুরাডান ৫ জি নেমাটোড জাতীয় কৃমি/উইপোকার উপদ্রব থেকে রক্ষা করবে। মাটির সঙ্গে গোবর, বালি ও ফুরাডান ভালোভাবে মিশিয়ে সিনথেটিক বস্তায় ভরে ঝাঁকিয়ে নিতে হবে। ফলে মিশ্রনটি ভালোভাবে চেপে যাবে। সম্ভব হলে ১ চা চামচ পটাশ সার মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
এবার একটি বালি ভর্তি টবে তিন টুকরো অঙ্কুরিত আদা পুঁতে দিতে হবে। এখানে বলে রাখা ভালো আদার কন্দ লাগানোর আগে ছত্রাকনাশক অটোস্টিন ২ গ্রাম /লিটার পানিতে দিয়ে শোধন করে নিলে ভালো হয়। চাইলে অন্য কোনো ছত্রাকনাশকও ব্যবহার করতে পারেন। শোধনের পর কন্দগুলো আধা ঘণ্টা ছায়ায় শুকিয়ে নিতে হবে।
২০-২৫ দিন পর বপনকৃত আদা থেকে গাছ বের হবে। তখন আদার চারা সাবধানে তুলে বস্তার মুখে তিন জায়গায় বসিয়ে দিতে হবে। দিনের অধিকাংশ সময় রোদ পায় এমন স্থানে বস্তাটি রাখতে হবে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আদা গাছ বাড়তে থাকবে।
চারা লাগানোর দু’মাস পরে চার চা চামচ সরিষার খোল এবং আধা চামচ ইউরিয়া মাটিতে প্রয়োগ করতে হবে। বস্তার মাটি মাঝে মাঝে খুঁড়ে একটু আলগা করে দিতে হবে।
জুন-জুলাই মাসে আদা লাগালে ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে তোলার উপযুক্ত হয়ে যাবে। এক একটি বস্তায় তিনটি গাছ থেকে এক-দেড় কেজি পর্যন্ত ফলন পাওয়া সম্ভব। আদা তুলে নেওয়ার পর সেখানে সবজি চাষ (মরিচ, টমেটো, লেটুস প্রভূতি) করা যেতে পারে। সে জন্যে নতুন করে মাটি তৈরি করারও দরকার নেই।
এই পদ্ধতিতে আদা চাষে এক দিকে যেমন মাটিবাহিত রোগের আক্রমণ কমে যায়, অন্যদিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে বস্তা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। বাড়ির উঠোন, প্রাচীরের কোল ঘেঁষে বা বাড়ির আশেপাশের ফাঁকা জায়গা অথবা ছাদে যেখানে খুশি রাখা যায়। এর জন্যে আলাদা কোনও জমি বা পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না।
How useful was this post?
Click on a star to rate it!
We are sorry that this post was not useful for you!
Let us improve this post!
Thanks for your feedback!