বস্তায় আদা চাষ পদ্ধতি ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে নওগাঁ জেলায়
বস্তায় আদা চাষ দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে নওগাঁয়, যা মসলাজাতীয় খাবারের মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশে এই মশলা খুব সীমিত পরিমাণ চাষ হয় বলে চাহিদা মেটাতে প্রতিবছরই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।
তবে বর্তমানে এ মসলা পণ্যের চাষ হচ্ছে উত্তরের সবজি ভাণ্ডার নওগাঁয়। আশার খবর এক কিংবা দুইজন নয় বরং জেলাজুড়ে বহু কৃষক ব্যাগিং পদ্ধতিতে এবার আদা চাষ করেছেন।
নওগাঁর রানীনগর উপজেলার আদাচাষি জহুরুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি ইউটিউবে বস্তায় আদাচাষ পদ্ধতি দেখেন তিনি। সিদ্ধান্ত নেন নিজেই শুরু করবেন এই মসলার চাষ।
শুরুতে নিয়ম অনুসারে মাটি প্রস্তুত করে নেন তিনি। যেখানে আনুপাতিকহারে বালি, ছাই, জৈব সার ও মাটিসহ কিছু উপদানের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে রেখে দেন মাস খানেক। এরপর নিজের কয়েক শতক জমিতে ১৬শটি ব্যাগে ভরিয়ে তাতে রোপণ করেন ৩টি করে চারা।
কৃষক জহুরুল জানান, সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এই পতিত জমিতে খুবই সীমিত খরচ এবং শ্রমে ফসল ঘরে তোলা যায়। ছাঁয়াযুক্ত পতিত জমিতেই এই ফসল সবচেয়ে ভালো হয়। একেকটি ব্যাগে কমপক্ষে ২ কেজি পর্যন্ত আদা পাবার আশা করেন তিনি।
জহুরুলের মতো করে জেলার আত্রাই, সদর, বদলগাছীসহ কয়েকটি উপজেলায় বস্তায় আদা চাষ হচ্ছে।
আত্রাই উপজেলার আরেক চাষি মিনহাজ উদ্দিন বলেন, নওগাঁর আবহাওয়ায় এই পদ্ধতি খুবই কার্যকরী। কেবলমাত্র কৃষকরাই নয়; ঘরের ছাদ কিংবা বাড়ির যেকোনো জায়গায় এটি রোপণ করে পরিবারের চাহিদা মেটানো সম্ভব।
বস্তায় আদা চাষে রোগবালাইয়ের আক্রমণ জমিতে আদা চাষের তুলনায় কম হয় বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সম্ভাবনার কথা ভেবে আগ্রহীদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত নওগাঁর ১১ উপজেলায় অন্তত ৩৩ জন কৃষক ব্যাগিং পদ্ধতিতে আদা চাষ শুরু করেছেন।
How useful was this post?
Click on a star to rate it!
We are sorry that this post was not useful for you!
Let us improve this post!
Thanks for your feedback!