বাছুরের জন্মের পর থাকে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পুষ্টি উপাদান
বাছুরের জন্মের পর প্রথম কয়েক মাস পর্যন্ত বাছুরের দৈহিক বৃদ্ধি অতি দ্রুত হয়। তাই জন্মের পর প্রথম তিন মাস বাছুরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি অতি গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় পুষ্টির অভাব হলে বাছুরের দৈহিক বৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্থ হয়, যৌবন প্রাপ্তি দীর্ঘায়িত হয় অর্থাৎ গর্ভধারণ ক্ষমতা বিলম্বিত হয় বলে খামারির ক্ষতির কারণ হয়।
দুধঃ সাধারণত একটি বাছুরকে তার শরীরের ওজনের ১০% ভাগ দুধ খাওয়াতে হয়। খেয়াল রাখতে হবে জন্মের পর প্রথম ৫-৭ দিন বাছুরকে যেন অবশ্যই শালদুধ খাওয়ানো হয়। ৬-৮ সপ্তাহ পর্যন্ত দৈনিক নির্দিষ্ট সময়ে দুধ খাওয়াতে হয়। পরবর্তী সময়ে দৈনিক ২ বেলা নির্দিষ্ট পরিমাণ দুধ খাওয়ানোই যথেষ্ট কেননা এ সময়ে বাছুর আঁশ ও দানাদার খাদ্য গ্রহণে অভ্যস্ত হয়ে উঠে।
একটি বাছুরকে প্রতিদিন নিম্নলিখিত মাত্রায় দুধ খাওয়ানো উচিতঃ
১ম সপ্তাহ মোট ২ লিটার
২য় সপ্তাহ ৩ লিটার
৩য়-১২ সপ্তাহ ৪ লিটার
১৩-১৬ সপ্তাহ ৩ লিটার
১৭-২০ সপ্তাহ ২ লিটার
দুধ ছাড়া পর্যন্ত ১ লিটার
বাছুরের জন্য আঁশ ও দানাদার খাদ্যঃ বাছুরকে জন্মের ১ মাস পরেই কিছু কিছু কাঁচা ঘাস ও দানাদার খাদ্যে অভ্যস্ত করে তুলতে হয়। ২ মাস বয়স হতে পরিমিত সহজপাচ্য আঁশ জাতীয় খাদ্য এবং দৈনিক ২৫০ গ্রাম-৫০০ গ্রাম দানাদার খাদ্য দিতে হবে। বয়স অনুসারে ক্রমান্বয়ে দানাদার খাদ্যের পরিমাণ বাড়িয়ে ৪ মাস বয়সে দৈনিক প্রায় ৭৫০ গ্রাম, ৬-৯ মাস বয়স পর্যন্ত ১ কেজি এবং এক বৎসর বয়সে দৈনিক ১.৫ কেজি দানাদার খাদ্য দিতে হবে। অনুরূপ কাঁচা ঘাসের পরিমাণ বাড়িয়ে দৈনিক ৬-৮ কেজি পর্যন্ত দিতে হবে।
How useful was this post?
Click on a star to rate it!
We are sorry that this post was not useful for you!
Let us improve this post!
Thanks for your feedback!