মিনি কম্বাইন হারভেস্টার।হারভেস্টার ব্যবহারের সুবিধা ও সরকারের সহায়তা
মিনি কম্বাইন হারভেস্টারঃ
কম্বাইন হারভেস্টার ব্যবহারের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে কম শ্রমিক দিয়েই একই সঙ্গে ধান কাটা, মাড়াই, পরিস্কার ও প্যাকেটজাত করা যায়। কৃষি শ্রমিক সঙ্কটের কারণে উন্নত প্রযুক্তির এ মেশিনের দিকে ঝুঁকছেন মাঝারি এবং বড় কৃষকরা। মেশিনটির ব্যবহার বাড়ানো গেলে কম খরচে বেশি ফসল উত্পাদন সম্ভব। তবে দেশের প্রেক্ষাপটে কম জমির জন্য মেশিনের ছোট ভার্সন মিনি কম্বাইন হারভেস্টার ভালো। তাই এটি এখন জনপ্রিয় হচ্ছে। তবে মেশিনের দাম বেশি হওয়ায় তা কিনতে পারছেন না কৃষকরা।
মিনি কম্বাইন হারভেস্টার ক্রয়ে সরকারের সহায়তাঃ
বর্তমানে কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ে কৃষককে সহায়তা দিতে সরকার বিভিন্ন মেশিনের ৫০-৭০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দিচ্ছে। এজন্য খামার যান্ত্রিকীকরণের মধ্যমে ফসল উত্পাদন বৃদ্ধি-দ্বিতীয় পর্যায় শীর্ষক প্রকল্পের কাজ চলছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ১২৫ টি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন ক্রয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রতি একটি থেকে পাঁচটি করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মিনি কম্বাইন হারভেস্টারের নিয়মিত দাম পড়ে সাত লাখ ২৫ হাজার টাকা। কিন্তু সরকারের দিক থেকে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া হয়। ফলে মেশিনটি ৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকায় কৃষকরা কিনতে পারেন।
মিনি কম্বাইন হারভেস্টার ব্যবহারের সুবিধাঃ
মিনি কম্বাইন হারভেস্টার ব্যবহারে ৬০-৭০ শতাংশ পর্যন্ত খরচ কমাতে সাহায্য করে। অন্যদিকে সময় বাঁচায় ৭০-৮২ শতাংশ এবং ৭৫ শতাংশ কম শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। প্রতি ঘন্টায় দেড় একর জমির ধান কাটা এবং মাড়াই, পরিস্কার, এবং প্যাকেটজাত করা সম্ভব। এই মেশিন ব্যবহারের মাধ্যমে ১ ঘন্টায় ৩৩ শতক জমির ধান বা গম কাটা যায়। প্রচলিত পদ্ধতিতে এক একর জমির ধান বা গম কাটতে খরচ হয় প্রায় ৬ হাজার টাকা। সেখানে মিনি কম্বাইন হারভেস্টার ব্যবহারে লাগে মাত্র ৪০০ টাকা। এটি অল্প কাদার মধ্যেও ব্যবহার করা যায়। সেই সাথে এই মেশিন দিয়ে কাটার পর খড় আস্ত থাকে। মেশিনটির মাধ্যমে ধান কাটা হলে ফসল বেশি পাওয়া সম্ভব।
এ কারণে শ্রম ও সময় সাশ্রয়ের জন্য কৃষকের কাছে কম্বাইন হারভেস্টার দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে।
How useful was this post?
Click on a star to rate it!
We are sorry that this post was not useful for you!
Let us improve this post!
Thanks for your feedback!