যে ১০ টি খাবার নিয়মিত খেলে প্রতিরোধ হবে হৃদরোগ ?
বিশ্বব্যাপী হৃদরোগ এখন একটি উত্তোরত্তর বেড়ে চলা সমস্যা। আর এর জন্য প্রধানত দায়ী হলো অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। কারণ অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। প্রক্রিয়াজাতকৃত খাবারের মতো ট্রান্সফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। উদাহরণত, যেসব খাবার ডিম বা প্রাণিজ মাংস থেকে আসে। অনেক গবেষণায়ই প্রমাণিত হয়েছে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনেই স্বাস্থ্যের ওপর বেশ ভালো রকমের প্রভাব পড়ে।
বিশেষ করে, এক গবেষণায় দেখা গেছে, ফাস্টফুড খাওয়ার ফলে মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই রক্তের শিরা-উপশিরাগুলো প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। এবং স্বাভাবিকভাবে শিথিল হওয়ার ক্ষমতা অর্ধেক কমে আসে।
তথাপি, গবেষণায় এও দেখা গেছে যে, উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাদ্যাভ্যাস রপ্ত করলে হৃদরোগের ফলে যে ক্ষয় হয় তা সেরে ওঠে। গবেষকরা আরো দেখতে পেয়েছেন, যখন লোকে রক্তের শিরা-উপশিরা বন্ধ করে দেওয়ার মতো ক্ষমতাসম্পন্ন খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেন তখন তাদের দেহ আরোগ্য লাভ করতে শুরু করে। এবং যে প্লাক জমেছিল তা মিইয়ে যায়।
যুক্তরাজ্যের চিকিৎসক ও জীবন-যাপন এবং খাদ্যাভ্যাস বিশেষজ্ঞ ড. মিখায়েল গ্রেগার ডেইল মেইলকে এমন ১০টি খাবারের কথা বলেছেন যেগুলো প্রতিদিন খেলে হৃদরোগ প্রতিরোধ হবে।
১. শিম এবং শুঁটিজাতীয় খাবার: প্রতিদিন তিনবার খেতে হবে।
২. বেরি: প্রতিদিন একবার খেতে হবে। বেশ ভালো পরিমাণেই খেতে হবে।
৩. অন্যান্য ফল: প্রতিদিন অন্তত তিনবার খেতে হবে।
৪. ক্রসীফেরাস জাতীয় সবজি: দিনে একবার খেতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে, উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাদ্যাভ্যাস স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। কেননা এতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফ্রি র্যাডিক্যালসদের সঙ্গে যুদ্ধ করে। আর ফ্রি র্যাডিক্যালসরা দেহের ক্ষয় করে।
৫. সবুজ সবজি: প্রতিদিন দুইবার খেতে হবে।
৬. অন্যান্য সবজি: প্রতিদিন দুইবার খেতে হবে। বিটরুটের মতো সবজি নাইট্রেটের বড় উৎস। যা রক্তচাপ কমায় এবং রক্তপ্রবাহ বাড়ায়।
৭. ফ্ল্যাক্সসীড/তিসি: এক টেবিল চা চামচ। রক্তচাপের রোগীরা ছয় মাস ধরে ফ্ল্যাক্সসীড খাওয়ার পর তাদের রক্তচাপ ব্যাপকভাবে কমে আসতে দেখা গেছে। সালাদ বা স্যুপের সঙ্গেও খাওয়া যায় ফ্ল্যাক্স সীড।
৮. বাদাম এবং বীজ: প্রতিদিন অন্তত একমুঠো খেতে হবে।
৯. ভেষজ এবং মশলা: এক চা চামচের চারভাগের একভাগ খেলেই চলবে।
১০. পূর্ণ শস্যজাতীয় খাবার: প্রতিদিন অন্তত তিনবার খেতে হবে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে যারা বেশি বেশি পূর্ণশস্যজাতীয় খাবার খান তারা অনেকদিন পর্যন্ত বাঁচেন। কেননা এইজাতীয় খাবার হৃদরোগ, টাইপ টু ডায়াবেটিস, স্থুলতা এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
১১. শরীরচর্চা: প্রতিদিন অন্তত ৯০মিনিট করতে হবে। আপনি কী খাবার খাচ্ছেন তা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি গুরুত্বপূর্ণ শরীরচর্চা করেছেন কিনা। শুনে হয়তো অদ্ভুত লাগতে পারে কিন্তু সত্যি হলো পুষ্টি এবং শরীরচর্চা হাত ধরাধরি করে চলে। শরীরচর্চা করলে পুষ্টি উপাদানগুলো আরো বেশি কার্যকর হয়।
সূত্র: ডেইলি মেইল
How useful was this post?
Click on a star to rate it!
We are sorry that this post was not useful for you!
Let us improve this post!
Thanks for your feedback!