শিশুর দাঁতের ক্ষয় রোধে করণীয়
শিশুর প্রাথমিক দাঁতের সংখ্যা ২০, আর স্থায়ী দাঁতের সংখ্যা ৩২। প্রাথমিক দন্ত বিকাশে সার্বিক যত্নের খুব প্রয়োজন। শিশুর প্রাথমিক দাঁতগুলো খাবার চিবানো স্পিচ, চোয়ালের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাদের দাঁত সুস্থ রাখার জন্য বিশেষ খেয়াল রাখতে হয়। নচেৎ ডেন্টাল কেরিজ হয়ে দাঁতে ক্ষয়রোগ হতে পারে।
করণীয়
- শিশুর ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শুধু বুকের দুধ পান করাবেন। মাতৃদুগ্ধ পান শিশুর মুখের স্বাভাবিক সুন্দর আকৃতি গঠনে সহায়ক।
- শিশুকে বোতলে, ফিডারে কিছু খাওয়ানো হলে তা ক্ষয়রোগের সূচনা করে। অনেক অভিভাবকের মধ্যে শিশুকে বোতল-ফিডারে দুধ ভরে ঘুমানোর সময় শিশুকে খাওয়ানোর রেওয়াজ চালু আছে। অনেকে আবার ঘুমের মধ্যে শিশুকে খাওয়ান। ঘুমের সময় শিশুর মুখগহ্বরের লালাস্রোত থমকে যায় ও তার দুধ গেলার যে রিফ্লেক্স, তা-ও কম থাকে। ফলে মুখের ভেতর দুধ জমে থাকে, এতে দাঁতের ক্ষতি হয়। সুতরাং এসব খারাপ অভ্যাস পরিত্যাগ করুন।
- দুধ পানের পর শিশুকে পানি পান করিয়ে দাঁত ও মুখগহ্বর পরিচ্ছন্ন রাখুন।
- যেসব শিশু বেশি বেশি চিনি, সুগারযুক্ত পানীয়, চকোলেট, আইসক্রিম, জ্যাম-জেলিজাতীয় খাবার যখন-তখন খেয়ে ফেলে, তাদের ডেন্টাল কেরিজ বেশি হয়। তুলনায় উচ্চ প্রোটিন, চর্বি ও ফসফেট এবং ডিটারজেন্ট ডায়েট শিশুর দন্তের সুরক্ষা দেয়। শুকনো ফল, খেজুর ও বিভিন্ন রকমের বাদাম, পনির ক্যালসিয়াম ও ফসফেটের বড় উৎস। এগুলো মাড়িতে রক্তসঞ্চালন বাড়ায় ও দাঁতের সুরক্ষা সাধন করে।
- কেরিজ দেখা গেলে সময়মতো দন্তবিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত, যাতে তা পাশের দাঁতে বিস্তৃত হতে না পারে।
লেখক : বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।
How useful was this post?
Click on a star to rate it!
We are sorry that this post was not useful for you!
Let us improve this post!
Thanks for your feedback!