About Us Contact Us Privacy Policy Terms & Conditions Copyright

বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা দমনে জৈবিক বালাই ব্যবস্থাপনা

Please don't forget to share this article

বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা কি ধরণের অনুকূল পরিবেশ পেলে আক্রমণ শুরু করে?

বেগুন ফসলের জমিতে সাধারণত চারা রোপণের ৪-৫ সপ্তাহ পর  থেকেই বেগুনের কচি ডগায় ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ শুরু হয়। সাধারণত অন্য বেগুনের জমি বা আশপাশের পুরনো শুকনা বেগুন গাছের স্তূপ থেকে পোকার মথ জমিতে আসে এবং পরে ডগা ও ফলে বংশবৃদ্ধি করে। ঋতুভেদে বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণের ভিন্নতা দেখা যায়। উষ্ণ এবং আর্দ্র আবহাওয়া এই পোকার বংশবৃদ্ধিতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে বলে গ্রীষ্মকালে এর আক্রমণ বেশি দেখা যায়।  অন্যদিকে শীতকালে এ পোকার আক্রমণের হার কম থাকে।

বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার ক্ষতির লক্ষণগুলো কি কি?

এই পোকা ফুলের কুঁড়ি, পাতার বোটা, কচি ডগা ছিদ্র করে ভিতরে ঢুকে খাবার খায় ও সুড়ঙ্গের সৃষ্টি করে। ফলে কচি ডগা ঢলে পড়ে এবং মারা যায় । একইভাবে কীড়া ফল ছিদ্র করে ভিতরে ঢুকে ও শাঁস খায়। আক্রান্ত বেগুনের গায়ে কীড়ার মলসহ ছিদ্র দেখা যায় এবং বেগুন কাটলে ভিতরে মল ও পচা সুড়ঙ্গ দেখা যায়। আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে বেগুন পচতে শুরু করে ও ঝড়ে পড়ে। অনেক সময় গাছও মারা যায়।

বেগুনের ডগা ফল ছিদ্রকারী পোকা কিভাবে জৈবিকভাবে দমন করা যাবে?

মানসম্পন্ন বীজ ব্যবহার করতে হবে। প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার আক্রান্ত ডগা ও ফল ছিড়ে ধ্বংস করতে হবে এবং জমি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ক্ষেতের চারপাশে জালের বেড়া দিয়ে মথের প্রবেশ ঠেকাতে পারেন।পরবর্তীতে জৈব বালাইনাশক প্রয়োগ করতে হবে। ১ লিটার পানিতে ৫০ গ্রাম আধাভাঙ্গা নিমবীজ ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে, ছেঁকে আক্রান্ত গাছে ১০ দিন পর পর ৩ বার স্প্রে করেও এই পোকা নিয়ন্ত্রন করা যাবে। ট্রাইকোগ্রামা বোলতা এবং ব্রাকন জাতীয় পরজীবী পোকা অবমুক্তকরণের মাধ্যমে বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা দমন করা যাবে।

এছাড়াও, সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে পুরুষ মথ ধরে এদের বংশবিস্তার কমানো যায়। বেগুনের চারা রোপণের ৪-৫ সপ্তাহ পর থেকেই জমিতে ফাঁদ স্থাপন করা আবশ্যক। ফেরোমন ফাঁদ ১০-১২ মিটার দূরে-দূরে স্থাপন করতে হবে। ফাঁদের নিচের দিকে মথেরা ডিটারজেন্ট পানিতে ধরা পড়বে। ২ থেকে ৩ মাস পর লিউর বা টোপ পরিবর্তন করতে হবে।

আর যদি কোনো কারণে জৈবিক দমন ব্যবস্থাপনায় পোকার আক্রমণ না কমে, সেক্ষেত্রে স্থানীয় কৃষি বিশেষজ্ঞ বা কৃষি অফিসারদের সাথে পরামর্শ করে রাসায়নিক দমন ব্যবস্থায় যেতে হবে।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

As you found this post useful...

Follow us on social media!

We are sorry that this post was not useful for you!

Let us improve this post!

Please don't forget to share this article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। সকল স্বত্ব www.agriculturelearning.com কর্তৃক সংরক্ষিত