About Us Contact Us Privacy Policy Terms & Conditions Copyright

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রশ্নোত্তর (অষ্টম শ্রেণির পড়াশোনা)

Please don't forget to share this article

প্রশ্ন: তথ্যপ্রযুক্তি কি? তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব আলোচনা করো।

উত্তর: তথ্য আহরণ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ ও বিতরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়া ও ব্যবস্থাকে তথ্যপ্রযুক্তি বলা হয়। বিভিন্ন ইলেকট্রনিক প্রযুক্তির সঙ্গে মিলে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে কম্পিউটার। কম্পিউটারনির্ভর ইন্টারনেট প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে বিশ্ব এখন এক বিশাল তথ্যভান্ডারে পরিণত হয়েছে।

প্রতিদিন মানুষের জীবনে নতুন নতুন তথ্যের সমাবেশ ঘটছে। মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণে তথ্যের পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে এবং উপযুক্ত তথ্য পাওয়ার সুযোগ অনেক বেড়ে গেছে। মানুষের নিজের পক্ষে সব তথ্য মনে রাখা সম্ভব নয়। এ জন্য প্রয়োজন সঠিক যোগাযোগব্যবস্থা। যার মাধ্যমে সহজে ও দ্রুত তথ্য পাওয়া যায়।

প্রশ্ন: দৈনন্দিন জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কয়েকটি ব্যবহার লেখো।

উত্তর: দৈনন্দিন জীবনে তথ্যপ্রযুক্তির নানামুখী ব্যবহার রয়েছে। কয়েকটি ব্যবহার নিচে দেওয়া হলো:

১. মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঘরে বসেই পরীক্ষার ফলাফল জানা যায়।

২. মোবাইল ফোন ব্যবহার করে টাকা পাঠানো ও গ্রহণ করা যায়।

৩. অনলাইন ও ইন্টারনেট ব্যবহারে ঘরে বসেই চাকরির আবেদন করা যায়। পরীক্ষার প্রবেশপত্র অনলাইন থেকে প্রিন্ট করা যায়।

৪. অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে যেকোনো স্থান থেকেই ট্রেন ও প্লেনের টিকিট কেনা যায়।

৫. অনলাইনে ইন্টারনেটের সহায়তায় সব ধরনের পত্রিকা (যা ইন্টারনেটে থাকে) পড়া যায়।

৬. ইন্টারনেটে ঘরে বসেই প্রয়োজনীয় পণ্যের বেচাকেনা ও বিল পরিশোধ করা যায়।

৭. এটিএম মেশিনের মাধ্যমে বুথ থেকে যেকোনো সময় টাকা ওঠানো যায়।

৮. ই-বুক পড়ার সুবিধা পাওয়া যায়।

৯. স্বয়ংক্রিয়ভাবে কর্মস্থলে কর্মীদের কাজ মনিটরিং করা যায়।

প্রশ্ন: আউটসোর্সিংয়ের বর্ণনা দাও। ঘরে বসে আয় করার জন্য কী ধরনের যোগ্যতা দরকার?

উত্তর: বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের নিজেদের অনেক কাজ যেমন ওয়েবসাইট উন্নয়ন, রক্ষণাবেক্ষণ, মাসিক বেতন, বিল প্রস্তুতকরণ, ওয়েবসাইটে তথ্য যোগ করা, সফটওয়্যার তৈরি করা, আর্টিকেল েলখা, অনুবাদ, ইলাস্ট্রেশন ইত্যাদি কাজ অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির দ্বারা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে করিয়ে নেয়। এভাবে অন্য কোনো স্থানের বা বাইরের দেশের অন্য কোনো দক্ষ ব্যক্তির দ্বারা কাজ করিয়ে নেওয়াকে আউটসোর্সিং বলে। ইন্টারনেটের বিকাশের ফলে বর্তমানে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর জন্য ঘরে বসে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে অন্য দেশের কাজ করে দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে যে কোনো দক্ষ কর্মী এ ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। ঘরে বসে আয় করার জন্য যেসব যোগ্যতা থাকতে হবে তা হচ্ছে—

১. সংশ্লিষ্ট কাজে দক্ষতা থাকতে হবে।

২. ভাষার ওপর দক্ষতা থাকতে হবে।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

As you found this post useful...

Follow us on social media!

We are sorry that this post was not useful for you!

Let us improve this post!

Please don't forget to share this article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। সকল স্বত্ব www.agriculturelearning.com কর্তৃক সংরক্ষিত